গত ৭০ বছরে কংগ্রেস ভারতকে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসেবে গঠনের জন্য যতোটা এগিয়েছিল, মোদি সেটা তার ৫ বছরেই অর্ধেক নষ্ট করে গেছেন। তাই মোদির আবার ক্ষমতায় আসা শুধু ভারত নয় এই অঞ্চলের জন্য দুঃসংবাদ। মোদি তার মৌলবাদী কৌশলে ভোটার টেনেছেন, সেখানে রাহুলের প্রচারের সারমর্ম- ‘শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও অহিংসার মতবাদ।’
নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্ম রাহুল কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ায় দুই বছর আগেও রাহুলকে ‘অপরিপক্ক, ‘পার্ট টাইমার’ এবং ‘পাপ্পু’ এসব গালি শুনতে হতো বিজেপির কাছ থেকে। কিন্তু রাহুল তার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই এখন ঝানু রাজনীতিক, তার সাম্প্রতিক কাজকর্ম এবং ইন্টারভিউগুলোতে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
শুধু রাজনীতিতে নয় রাহুলের সফলতা আরও বিস্তৃত। তিনি একজন ব্ল্যাক বেল্ট হোল্ডার, লাইসেন্সপ্রাপ্ত পর্বতারোহী এবং পাইলট। রাহুল কখনো সরাসরি বিজেপি বা মোদিকে আক্রমণ করেন না। তিনি ভারতের যুবসমাজকে নিয়ে এক নতুন ভারত গড়ার কথা বলেছেন সব সময়। রাহুল মোদির মতো অজস্র মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটার টানতে চাননি, তিনি কৃষির উন্নতি, কর্মসংস্থান, সামাজিক সম্প্রীতি, পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন।
রাহুল নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলের জন্য হতো বড় খুশির খবর। ভারত থেকে রাহুলের বিশ্বনেতা হওয়াটা অনেকটাই কাঙ্খিত ছিল। কিন্তু মোদি যেন তার পুরো উল্টো। জল ঢেলেছেন কংগ্রেসের ৭০ বছরের চেষ্টায়।